পেকুয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীদের রীতিমতো যৌন হয়রানি
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া এ এস আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কম টাকায় প্রাইভেটের প্রলোভনে পেলে কৌশলে মাদ্রাসা ছাত্রীদের কব্জায় নেয় শিক্ষক মান্নান অত পর যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গরীব শিক্ষার্থীদের কম টাকায় প্রাইভেট পড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে মাদ্রাসা ছাত্রীদের কব্জায় নেয় উপজেলার উজানটিয়া এ এস আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আবদুল মান্নান।
জানাগেছে, কয়েক দিন প্রাইভেট পড়ানোর পর আর্থিক ভাবে অসচ্ছল ছাত্রীদের প্রলোভন দেখায় বিয়ের। গ্রামের সহজ- সরল ছাত্রীরা তার প্রতারণার ফাঁদ বুঝতে পারেনা। আর যখন বুঝতে পারে তখন আর ফিরে আসার সুযোগ থাকেনা। বিয়ের প্রস্তাবের পর ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে মাদ্রাসার নিরব ক্লাস রুমে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি এবং আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। এসময় মাদ্রাসার অন্য শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটি যেন সন্দেহ না করে সে জন্য তার বিশ্বস্থ একজন ছাত্র রাখে । সেই ছাত্রকে তার অপকর্ম প্রকাশ না করার জন্য সব পরীক্ষায় নাম্বার বাড়িয়ে দেয় সে। পরে আপত্তিকর ছবি গুলো দেখিয়ে ছাত্রীদের রীতিমতো ধর্ষণ করে মান্নান। মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর সময় এক ছাত্রীর শরীরে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে উত্তক্ত করার ২ টি ভিডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের হাতে জমা আছে। ধর্ষণের পর ছাত্রীদের হুমকি দেয়া হতো বাইরে জানাজানি হলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সমাজ পরিত্যক্তা বানাবে। মান্নানের সেই হুমকিতে ছাত্রীরা আর মুখ খুলেনা।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মান্নান দীর্ঘ দিন আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর অন্ত সত্তা হলে ছাত্রীর পরিবারের চাপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বর্তমানেও সে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণে লিপ্ত আছে বলে জানায় সূত্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, মান্নানের মতো লোকদের শিক্ষকতা পেশার মতো মহান পেশায় রাখলে নিরবে গ্রামের সহজ সরল ছাত্রীরা ধর্ষণের স্বীকার হবে আর বিচার চাওয়ার সুযোগ থাকবেনা। তাই অবিলম্বে অভিযুক্ত এই শিক্ষক কে চাকরিচ্যুত করার দাবী জানায় ছাত্রীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মান্নানের কর্মস্থল কক্সবাজার জেলার, পেকুয়া উপজেলার, উজানটিয়া ইউনিয়নের, উজানটিয়া এ এস আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল হক মকসুদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মান্নান তার মন যা চায় তা করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন নিয়ম নীতি মানছে না। মাদ্রাসায় ছাত্রীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে দেখতে পেয়ে ছাত্ররা তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিল। এবিষয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে অবগত করেছি।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্যের জন্য একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply